ভাষা আন্দোলনের খণ্ডচিত্র : ইসলামপন্থীদের ভূমিকা

সাঈদ হোসাইন :

২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু হয়। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়ার জন্য যে আত্মোৎসর্গ, পৃথিবীর আর কোনো ভাষার মানুষ এমনটি করেনি। এটি আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। তাই প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে আমাদের কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ ও রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে একুশের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন।

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, বামপন্থী ও সেক্যুলার শ্রেণির লেখক-বুদ্ধিজীবীগণ তাদের আলোচনা ও প্রবন্ধ-নিবন্ধে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে আলেম-ওলামা ও ইসিলামি চিন্তাবিদদের যে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও স্বর্ণোজ্জ্বল অবদান আছে তা পরিপূর্ণভাবে উপেক্ষা করেন। ইসলামপন্থীদের প্রতি তাদের নাকসিঁটকানো দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের কারণেই তাঁদের ত্যাগ ও অবদানের সোনালি ইতিহাসকে ইচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে যান। চামচিকা চায় না বলেই কি সূর্য ঘরে বসে থাকবে? না। ক্ষণিক সময় তারা এই সত্য ইতিহাস চেপে রাখলেও ইতিহাস তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় জ্বলে ওঠে। তাদের সেই কারসাজির খেলাঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

আলেম-ওলামা ও ইসলামি চিন্তাবিদগণ ভাষা আন্দোলনে যে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন, তা জাজ্বল্যমান সত্য। ‘৪৭-এর ১৭ই নভেম্বর বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘােষণা করার অনুরােধ জানিয়ে পূর্ববঙ্গের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি স্মারকপত্র দাখিল করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের শত শত নাগরিক এই স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন।স্বাক্ষরকারীগণের মধ্যে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, আইনজীবী, শিক্ষক, ওলামা, ছাত্র, রাজনৈতিক নেতা, ডাক্তার, সাংবাদিক এবং সরকারী কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর লােক ছিলেন। স্মারকপত্রে উল্লিখিত রাষ্ট্রভাষা বিষয়ক প্রস্তাবটি পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মন্ত্রীরাও সমর্থন করেন বলে জানা যায় । (দৈনিক আজাদ, ১৮ই নভেম্বর, ১৯৪৭)

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদের একটি উদ্ধৃতি এখানে প্রণিধানযোগ্য। বাংলা ১৩৫০ সালের মাসিক মোহাম্মদীর কার্তিক সংখ্যায় আবুল মনসুর আহমেদ তার ‘পূর্ব-পাকিস্তানের জবান’-এ লিখেছেন, বাংলার মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলা হবে কি উর্দু হবে, এ-তর্ক খুব জোরে-শোরে একবার উঠেছিল। মুসলিম বাংলার শক্তিশালী নেতাদের বেশির ভাগ উর্দুর দিকে জোর দিয়েছিলেন। নবাব আবদুর রহমান মরহুম, স্যার আবদুর রহিম, মৌ. ফজলুল হক, ডা. আবদুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী, মৌ. আবুল কাসেম মরহুম প্রমুখ প্রভাবশালী নেতা উর্দুকে বাঙালি মুসলমানের ‘মাতৃভাষা’ করবার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মুসলিম বাংলার সৌভাগ্য এই যে, উর্দু-প্রীতি যাদের বেশি থাকবার কথা, সেই আলেম সমাজই এই অপচেষ্টায় বাধা দিয়েছিলেন। বাংলার আলেম সমাজের মাথার মণি মওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ, মওলানা আবদুল্লাহেল বাকী, মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, উর্দু-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এঁদের প্রয়াসে শক্তি যুগিয়েছিলেন মরহুম নবাব আলী চৌধুরী সাহেব। সে লড়াই-এ এঁরাই জয়লাভ করেছিলেন। বাংলার ওপর উর্দু চাপাবার সে-চেষ্টা তখনকার মতো ব্যর্থ হয়। (দৈনিক বণিক বার্তা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)

ইসলামের সুমহান শিক্ষা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়ে কতিপয় বিভ্রান্ত মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও শাসক আরবী হরফে বাংলা প্রচলনের প্রয়াস চালিয়েছিলাে, কি উদ্ভট চিন্তা! অপরদিকে বাঙালি মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানের জন্য রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এবং তমদ্দুন মজলিসের ব্যানারে অগ্রণী ও কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন, যা ছিল ঐতিহাসিক এবং প্রশংসনীয়। তা সত্ত্বেও কতিপয় লােকের উর্দুকে ইসলামি ভাষা হিসেবে গণ্য করার প্রয়াস ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করানাের নামান্তর। যা ইসলামের অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই ছিল না ।

তমদ্দুন মজলিস ও অন্য আরেকটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ড. এ. এস, এম নুরুল হক ভূইয়া, সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বায়ক এডভােকেট কাজী গােলাম মাহবুব, ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ আলী, অধ্যাপক আবদুল গফুর, বিশিষ্ট দার্শনিক দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ, নেজাম ইসলাম পার্টির নেতা মৌলভী ফরিদ আহমদ এ ধরনের বহু ইসলামী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যারা প্রত্যক্ষভাবে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন। তারা ইসলাম বর্জন করে নয়; বরং ইসলামী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আল্লাহর দেয়া নেয়ামত মাতৃভাষাকে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেছেন। তবে একথাও সত্য, এ আন্দোলনে ইসলামপন্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সাধারণ বাঙ্গালী ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিলেন মূলত একটি গণআন্দোলন হিসেবে।

বর্তমান ইতিহাস বিকৃতকারীগণ এমনভাবে ইতিহাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যেন ইসলাম আর বাংলা ভাষার মাঝে দা-কুমড়া সম্পর্ক। তারা এ কথাই বলতে বা শ্রবণ করাতে চান যে, বাংলাভাষা আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন কমিউনিষ্টরা, ইসলামপন্থীরা নন। এ জন্যই ভাষা আন্দোলনের নেতা কাজী গােলাম মাহবুব দুঃখ করে বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি।’ ….দুঃখের বিষয়, ভাষা আন্দোলনের যে কয়েকটি ইতিহাস বা দলিল প্রকাশিত হয়েছে, তা পড়লে আমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। বেশির ভাগ লেখার মধ্যেই দেখা যায়, কমিউনিষ্টরাই যেন এ আন্দোলন করেছিল এবং নেতৃত্বটাও তারাই দিয়েছেন। অথচ কমিউনিষ্ট পার্টি এ দুটি আন্দোলনকালেই নিষিদ্ধ ছিল। (মাসিক ঐতিহ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৬)

এ প্রসঙ্গে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৪৮ সালের প্রথম ভাষা আন্দোলনে মূল চালিকা শক্তিই ছিল ইসলামী আদর্শে অনুপ্রাণিত সংস্থা তমদ্দুন মজলিস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। তখন কমিউনিষ্ট ছাত্রদের সংখ্যা এত মুষ্টিমেয় ও নগণ্য ছিল যে, চালিকা শক্তি হওয়া তাে দূরের কথা, কোন ফ্যাক্টরই তারা ছিল না।’ (বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, ঐতিহ্য, ফেব্রুয়ারী, ৮৬)

ড. এ.এস.এম. নুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার জানা মতে কমিউনিষ্ট পার্টির কোনো নেতা ১৯৪৭-৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না। তারা তখন পার্টি পলিসি হিসেবে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের সাথে সহযােগিতার নীতি অনুসরণ করে চলছিলেন।’ এ ব্যাপারে তিনি আরাে বলেন, ‘৪৭-এর ডিসেম্বরে কমরেড মােজাফফর আহমদ ঢাকায় এলে ভাষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তার কাছে আন্দোলনের জন্য সহায়তা চান। জবাবে কমরেড মােজাফফর আহমদ বলেন, “এ আন্দোলন করে কিছুই হবে না। এ পণ্ডশ্রম করতে আমরা রাজি নই।”’ ড. ভূঁইয়া বলেন, ‘তাদের (কমিউনিষ্টদের) নেতারই যখন এই মনােভাব, তখন দলের একজন কর্মী আন্দোলনে অংশ নেন কেমন করে?’ (ঐতিহ্য পত্রিকা, সাক্ষাৎকার, ফেব্রুয়ারী, ৮৬)

ভাষাসৈনিক গাজীউল হক বলেন, ‘তখন তাে এখানকার কমিউনিষ্ট পার্টির নিজস্ব কোনো কর্মপদ্ধতি ছিল না। প্রকৃতপক্ষে তখনকার কমিউনিষ্ট পার্টি ছিল ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির লেজুড় বিশেষ। আর ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির কমরেডরা (কর্মকর্তারা) তাে ছিলেন প্রায় সবাই হিন্দু। তাঁরা আদর্শের দিক থেকে যতটুকু কমিউনিষ্ট ছিলেন, তার চেয়ে বেশি ছিলেন হিন্দু। (ভাষা আন্দোলন সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ, দ্বিতীয় প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭, পৃ.১৬০)

মােট কথা, কিছু সংখ্যক মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও শাসক নবপ্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রক্ষার মােহে বিভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে। এ বিভ্রান্তির মূলে তৎকালীন আন্তর্জাতিক পরিবেশ পরিস্থিতিকেও দায়ী করা যায়। কারণ তখন ভারত উপমহাদেশসহ বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রভাষা ঘােষণার হিড়িক পড়েছিল। যেজন্য এমনকি বামপন্থীরা যে কবি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গর্ব করে এবং যিনি বাংলা ভাষাতেই সাহিত্য রচনার জন্য নােবেল পুরস্কার পান, তিনিও হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নেহেরুর কাছে পত্র দিয়েছিলেন। অতএব তখন অনেকেই বিভ্রান্ত ছিলেন এবং আমাদের বাংলা ভাষাকে অমর্যাদা করেছেন। (মাতৃভাষা আন্দোলন ও ইসলাম,ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আন্ওয়ারী, মুহাম্মদ ব্রাদার্স, ২০০৩ খ্রি., পৃ. ৯০-৯২)

ভাষা আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকে চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি পর্বেই দেশের মূলধারার সিংহভাগ আলেম-ওলামা ও ইসলামি চিন্তাবিদগণ সোচ্চার ছিলেন। নিজের শ্রম, মেধা ও সাহসিকতার মাধ্যমে এই আন্দোলনে যেসব আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদের দৃপ্ত পদচারণা ছিল, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মাওলানা আকরম খাঁ রহ., ভাষা আন্দোলনে প্রেরণার বাতিঘর মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী রহ., মাওলানা আবদুল্লাহিল বাকী রহ., ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মওলানা ভাসানী রহ., ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ রহ., ভাষা আন্দোলনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠস্বর মুজাহিদে আযম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ., মুফতী দ্বীন মুহাম্মদ খান রহ., অবিভক্ত পাকিস্তানের উভয় অংশে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি উত্থাপনকারী প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাওলানা আতহার আলী রহ., ভাষা আন্দোলনের অকুণ্ঠ সমর্থক খতিবে আযম মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ রহ., ভাষা আন্দোলনের সমর্থক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম রহ., ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক মৌলভী ফরিদ আহমদ রহ., ভাষার জন্য টানা দেড় মাস কারাবরণকারী ভাষাসৈনিক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ., ভাষা সৈনিক মাওলানা ফজলুল হক নূরনগরী রহ., ভাষাসৈনিক মাওলানা আবদুস সোবহান রহ., ভাষাসৈনিক মাওলানা আহমেদুর রহমান আজমী রহ., ভাষাসৈনিক মাওলানা লোকমান আহমদ আমীমী, ভাষাসৈনিক মাওলানা ফয়জুর রহমান রহ., ভাষাসৈনিক মাওলানা মুসা রহ., ভাষাসৈনিক মাওলানা হাসান শরীফ রহ., মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান রহ.।

ভাষা আন্দোলনে ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, ভাষা আন্দোলনের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রহ., ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ রহ., বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম রহ., ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যাপক শাহেদ আলী রহ., ইসলামি চিন্তাবিদ দেওয়ান মােহাম্মদ আজরফ রহ., ইসলামি চিন্তাবিদ শামসুল হক রহ., ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যাপক আবদুল গফুর প্রমুখ।

(বি. দ্র. এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন লেখকের প্রকাশিতব্য বই ‘ভাষা আন্দোলনে আলেমসমাজের ভূমিকা’।)

 

আগের সংবাদবাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম
পরবর্তি সংবাদবাংলাদেশী বাংলা : আবুল মনসুরের সাংস্কৃতিক প্রকল্প