মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১৪ হাজার সেনা পাঠানোর তোড়জোড় আমেরিকার

মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১৪ হাজার সেনা পাঠানোর তোড়জোড় আমেরিকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১৪ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে যাচ্ছে আমেরিকা। ইরানের ক্রমাগত হুমকি দমনে তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে বলে মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা সংক্রান্ত এই দৈনিকের খবর অস্বীকার করেছে পেন্টাগন।

বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য মোতায়েনকৃত এই সামরিক বহরে কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ ও এই অঞ্চলে মোতায়েনকৃত সেনা সদস্যের দ্বিগুণ সেনা মোতায়েন করতে পারে।

মার্কিন এই দৈনিক বলছে, চলতি মাসের প্রথম দিকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পেন্টাগন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যালিসা ফারাহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, পরিষ্কার করে বলতে গেলে এই প্রতিবেদন মিথ্যা। মধ্যপ্রাচ্যে ১৪ হাজার অতিরিক্ত সেনা সদস্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে না যুক্তরাষ্ট্র।

মধ্যপ্রাচ্যের সমুদ্র অঞ্চলে সম্প্রতি তেলবাহী ট্যাঙ্কার এবং জাহাজ ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হয়েছে। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের জিজান প্রদেশে দেশটির সরকারি তেল স্থাপনায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।

সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব হামলার জন্য সৌদির আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে দায়ী করেছে। তবে ইরান বরাবরের মতো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে দফায় দফায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; যা উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনায় পারদ জুগিয়েছে।

নভেম্বরের মাঝের দিকে ইরানি হুমকির মুখে মিত্রদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কন মোতায়েন করা হয়। অক্টোবরে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান মার্ক এস্পার সৌদি আরবে দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন ও অতিরিক্ত ক্ষেপণাস্ত্র পতিরক্ষা ব্যাটারি সৌদি আরবে পাঠানোর ঘোষণা দেন। এ নিয়ে সৌদি আরবে মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়ায় তিন হাজারে।

পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বুধবার বলেন, ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করায় ভবিষ্যতে ইরান আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারে। এ ধরনের ইঙ্গিত আমাদের কাছে রয়েছে।

আগের সংবাদধর্ষণকে বৈধতা দেয়ার আহ্বান ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার
পরবর্তি সংবাদআসামের ভাষা আন্দোলন : ফিরে দেখা ইতিহাস