
ফাতেহ ডেস্ক:
করোনাতে আক্রান্ত জটিল রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। সরকারি হাসপাতালের প্রায় সব বেডে রোগী রয়েছেন, ফলে অনেককেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন। আইসিইউ না পেয়ে রোগী মারা যাবার ঘটনাও ঘটছে আগের মতো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে , কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা যথাক্রমে ১৬ শয্যা, ১০ শয্যা, ১০ শয্যা ও ১৬ আইসিইউ শয্যার প্রতিটি শয্যায় রোগী রয়েছে। আবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪টি শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ২২ জন, ফাঁকা রয়েছে দুইটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টি শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১১ জন, ফাঁকা রয়েছে চারটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টি শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১১ জন, ফাঁকা রয়েছে পাঁচটি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয়টি শয্যার মধ্যে রোগী আছেন দুইজন, ফাঁকা রয়েছে চারটি। আবার তালিকা থাকে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউর তালিকা দেখানো হয়েছে শূন্য।
বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের সাত আইসিউ শয্যার মধ্যে রোগী আছে সাতজন, আসগর আলী হাসপাতালের ৩১ শয্যাতে রোগী আছেন ২৬ জন, স্কয়ার হাসপাতালের ২৫ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৯ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালের ছয় শয্যার মধ্যে রোগী আছেন পাঁচজন, ইউনাইটেড হাসপাতালের ২২ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৪ জন, এভার কেয়ার হাসপাতালের ২০ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৯ জন, ইম্পালস হাসপাতালের ৫৬ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৩ জন, এ এম জেড হাসপাতালের ২১ শয্যার মধ্যে রোগী আছেন ১৩ জন ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১২ শয্যার মধ্যে ১২টিতেই রোগী আছেন। অর্থাৎ, ঢাকা মহানগরীর অধিদফতরের তালিকাতে থাকা হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ রয়েছে ৩১৬টি, যার মধ্যে রোগী আছেন ২২৬ জন আর শয্যা ফাঁকা রয়েছে ৯০টি।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি হাসপাতালের ৩৯টি বেডের মধ্যে রোগী আছেন ১৬ জন আর ফাঁকা রয়েছে ২৩টি। সারা দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ রয়েছে ২১৯টি যাতে রোগী আছেন ৯২ জন আর ফাঁকা রয়েছে ১২৭টি।
সারাদেশে অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী, করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ রয়েছে ৫৭৪টি আর তাতে ভর্তি আছেন ৩৩৪ জন, শয্যা ফাঁকা রয়েছে ২৪০টি।