হাদিসের আলোকে করোনার ওষুধ আনলেন সৌদি গবেষকরা

ফাতেহ ডেস্ক:

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। ভয়ংকর এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষায় একটি কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কারে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে শতাধিক গবেষণা চলমান আছে।

এর মধ্যেই নতুন সংবাদ পাওয়া গেল। সৌদি আরবের একদল গবেষক হাদিসের আলোকে গবেষণা করে করোনার ওষুধ আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন। এর কার্যকারিতা প্রমাণ হলে তা হবে বিশ্ববাসীর জন্য এক অবিস্মরণীয় সংবাদ।

জানা গেছে, হাদিস শরিফে বর্ণিত বিষয়াদি নিয়ে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহযোগিতায় সৌদি গবেষকরা করোনার বিরুদ্ধে ‘কার্যকর’ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকরা ওষুধটির বেশ সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছেন।

আমেরিকান জার্নাল পাবলিক হেল্থ রিসার্চ এবং মুসলিম ইঙ্ক ম্যাগাজিন সৌদি গবেষকদের এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে।

মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট-এর গবেষক দল তাদের আবিষ্কৃত ওষুধটির নাম দিয়েছেন ‘তাইবুভিড’। যা সহীহ বুখারি শরিফের ৫৩৬৩ নম্বর হাদিসের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ডেভেলপ করা হয়েছে। ওই হাদিসে কালোজিরার উপকারিতার কথা বলা হয়েছে।

হাদিসটি হলো- হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘রসুল (সা.) বলেছেন, ‘বিষ ছাড়া কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ।’ তিনি (আয়েশা রা.) বললেন, বিষ কী? নবীজি (সা.) জবাবে বললেন, মৃত্যু।’

অর্থাৎ হাদিসটির বক্তব্য হলো- মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ হলো কালোজিরা। আর এই হাদিস অনুসারেই সৌদি গবেষকরা ওষুধের মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছেন কালোজিরা, ক্যামোমিল ও প্রাকৃতিক মধু।

গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, এক ডোজ তাইবুভিউ ওষুধে রয়েছে- এক চা চামচ (২ গ্রাম) কালোজিরা, এক চা চামচ প্রাকৃতিক মধু এবং এক চা চামচ (১ গ্রাম) ক্যামোমিল (এক ধরনের ফুল) চূর্ণ।

এ ব্যাপারে তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও উল্লিখিত গবেষক দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেন, আমরা কালোজিরা, ক্যামোমিল ও লবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণা করি। এর পর আমরা যা উদ্ভাবন করেছি তা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আশানুরূপ ফল দিয়েছে।

তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, কালোজিরা এবং ক্যামোমিলের সমন্বিত মিশ্রণ করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে।

ডা. সালাহ আরো বলেন, যেসব করোনারোগী আমাদের উদ্ভাবিত ওষুধ গ্রহণ করেছেন, আল্লাহর রহমতে তারা ভালো ফল পেয়েছেন। আর এই ওষুধে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই উপকার পাওয়া যায়। রোগীরা এখন এটি বাড়িতেই তৈরি করে সেবন করতে পারছেন।

-এ

আগের সংবাদসৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি
পরবর্তি সংবাদবিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহত