ফাতেহ ডেস্ক:
বৈশ্বিক মন্দায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যের উৎপাদন কমবে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের চাহিদা মেটাতে মজুদ গড়ায় কমবে খাদ্যের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। মন্দায় মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমে যাওয়ায় খাদ্য ভোগের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
একদিকে উৎপাদন ও বেচাকেনা কমছে। অন্যদিকে বাড়ছে ভোগ। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি দেশ বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই। তবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপের কারণে খাদ্য ঘাটতি বাড়বে।
জাতিসংঘের ‘খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’ বা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) ফুড আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে অর্ধবার্ষিক এ প্রতিবেদনটি শুক্রবার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে খাদ্যের উৎপাদন বাড়বে না। কিন্তু চাহিদা বাড়বে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে যে ঘাটতি হবে সরকার তা বাড়তি আমদানি করে মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের সরবরাহ কম, দাম বেশি, অনেক দেশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমদানি করা কঠিন হবে। এদিকে দেশে খাদ্যের সরবরাহ ও মজুত কমবে। কিন্তু বাড়বে মাথাপিছু খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ। ফলে সার্বিকভাবে খাদ্য ঘাটতি কিছুটা বেড়ে যাবে।
তবে সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি হবে না। উৎপাদন ও আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি মেটানো হবে। ইতোমধ্যে রিজার্ভ থেকে অর্থ ব্যয় করে খাদ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।