![ফাতেহ](https://fateh24.com/wp-content/uploads/2019/09/ফাতেহ-62-696x392.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরাইল কর্তৃক পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকা দখলের ঘোষণার পর আরব দেশগুলো এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সৌদি আরবও বিরোধিতা করেছে এ ঘোষণার। এ বিষয়ে ‘পদক্ষেপ’ নিতে ইতিমধ্যে সৌদি আরব ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংগঠন (ওআইসি)’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকা দখলের ঘোষণা দেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে তার সরকার এ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া পশ্চিম তীরের সব এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন নিশ্চিত করা হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর ঠিক সাত দিন আগে মার্কিন সমর্থন নিয়ে জর্ডান উপত্যকা দখলের অঙ্গীকার করেন নেতানিয়াহু।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এটিকে খুবই বিপজ্জনক উত্তেজনা বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া জর্ডান ও সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছে।
এদিকে ২২টি আরব দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠন আরব লীগ বলছে, নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা বিপজ্জনকভাবে আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করবে এবং শান্তিকে ধ্বংস করবে।
নেতানিয়াহুর এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। আঙ্কারার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগলু এটিকে বর্ণবাদী প্রতিশ্রুত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহুর দেয়া সবধরনের ঘোষণা অবৈধ, বেআইনি এবং আগ্রাসনের বার্তা।
ফিলিস্তিনিরা বলছে, এ পদক্ষেপ অবৈধ। যেখানে জাতিসংঘ বলছে, এটি নতুন শান্তি আলোচনার সুযোগকে নষ্ট করবে। ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত বলেছেন, নেতানিয়াহুর এ ধরনের ঘোষণা শান্তিকে কবর দেয়া।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এ ঘোষণাকে মারাত্মক উত্তেজনা বলে উল্লেখ করেছেন। সতর্ক করে তিনি বলেছেন, এটি পুরো অঞ্চলকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।