সিনিফিকেশন অব ইসলাম : চীন তৈরি করছে যেভাবে নিজস্ব ইসলাম

সিনিফিকেশন অব ইসলাম : যেভাবে চীন তৈরি করছে নিজস্ব ইসলাম

রাকিবুল হাসান :

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ‘চীনা ইসলাম’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। তীব্রতর হচ্ছে ‘ডি-ইসলামাইজেশন’ অভিযান। একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, সিসিপি এখন তাদের ‘ডি-ইসলামাইজেশনে’র ট্রায়াল জোন হিসেবে ব্যবহার করছে জিংজিয়াং, হেনানসহ আরও কয়েকটি প্রদেশকে। লক্ষ্য তাদের একটাই—চীনের নিজস্ব নিয়মনীতির আওতায় ইসলামকে তৈরী করে নেয়া। এক কথায় বলতে গেলে সিনিফিকেশন অব ইসলাম।

দুই কোটি মুসলিমের আবাসস্থল চীন প্রকাশ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলে থাকে। দাফতরিকভাবে তারা এর নিশ্চয়তাও দেয়। কিন্তু সরকার চাইছে ধর্মবিশ্বাসীদের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলার জন্য। এ জন্য তারা ব্যাপক ধরপাকড় ও সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন ধারার নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রবল ক্ষমতার অধিকারী শি জিং পিংয়ের মতাদর্শে শাসিত চীনে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রেখে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। বলপূর্বক তাদের কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শে বিশ্বাস স্থাপন করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই ‘চীনা ইসলাম’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হলো।

মসজিদের ওপর আক্রমণ

চীনের আর্কিটেকচারাল স্টাইল তথা স্থাপত্য শৈলী হলো সমতল ছাদ। এ নিয়মের অধীনে মসজিদগুলো থেকে গম্বুজ সরিয়ে সমতল ছাদে রূপান্তরিত করতে বলা হয়।

গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে জিনমি শহরের ধর্ম বিষয়ক ব্যুরো নগরীর মসজিদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বলেছিলো, ‘সরকার সব ধর্মীয় স্থানকে বাঁকা চোখে দেখছে। ছাদের গম্বুজ সরিয়ে ফেলতে হবে। যে মসজিদগুলো থেকে গম্বুজ সরবে না, তা বন্ধ করে দেয়া হবে।’ গুরুতর সরকারি চাপে জুন ও জুলাই মাসে কমপক্ষে ১৫ টি মসজিদ থেকে গম্বুজগুলো জোর করে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো।

‘বিটার উইন্টার’ ম্যাগাজিনকে পিংমো শহরের হুই বাসিন্দারা জানিয়েছে, ‘সরকার স্থানীয় মসজিদের দায়িত্বরত ব্যক্তিকে গম্বুজ সরাতে নির্দেশ দেয় এবং সংস্কারের ব্যয় বহন করবে বলে। গম্বুজটি অপসারণে ২০০০০ এরও বেশি আরএমবি (প্রায় ২৮০০ ডলার) ব্যয় হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা এসে শুধু সংস্কারের ছবি তুলে নিয়ে যান। খরচাদির ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।’ স্থানীয় ইমামের মতে, ‘গম্বুজসহ ইসলামি প্রতীক সরিয়ে দেয়া মানে মুসলমানদের বিশ্বাসকে দমন করা। তবে আমরা যদি এগুলো না করি, তাহলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।’

জুলাইয়ের প্রথম দিকে ঝুমাদিয়ান শহরে স্যুইপিং কাউন্টিতে একটি গ্রামের সরকারী কর্মকর্তারা গ্রামটির মসজিদের গম্বুজ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। স্থানীয় হুই বাসিন্দাদের মতে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মসজিদের ইমামকে চলে যেতে বলে। না গেলে গ্রেফতারের হুমকিও দেয়। সাধারণ মানুষ ভেতরে ভেতরে ফুঁসছে রাগে। কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। আর আমাদের কথা বলার অধিকারও নেই।

জোর করে ইসলামি প্রতিকগুলো অপসারণ অভিযানের সময় অনেক তৃণমূল কর্মকর্তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের থেকে হুমকি পেয়েছিলেন। প্রদেশিক পরিদর্শক দল পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট দেয়। রিপোর্টের ভিত্তিতে গম্বুজ সরিয়ে ফেলতে আদেশ দেয়া হয়। এমনকি যদি তৃণমূলের কর্মকর্তারা যথাসময়ে গম্বুজ না সরায়, তাদেরকে বরখাস্ত করারও হুমকি দেয়া হয়।

জুলাইয়ে ঝুমাদিয়ানের আওতাধীন জিপিং কাউন্টির একটি মসজিদের গম্বুজ সরাতে প্রায় ৪০০০০ আরএমবি (প্রায় ৫৬০০ ডলার) ব্যয় হয়েছিলো। একজন বাসিন্দা বলছিলেন, ‘রাষ্ট্র মুসলমানদের দমন করে, আমাদের রীতিনীতি রক্ষা করে না। আপনি যদি তাদের কথা না মানেন, তারা বলবে—আপনি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং আপনাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। কমিউনিস্ট পার্টির কথা হচ্ছে—’আমার কথা মান, সমৃদ্ধ হও। আমার কথা না মানলে ধ্বংস হও।’

‘বিটার উইন্টার’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুমাদিয়ানের কমপক্ষে ৪০টি মসজিদ থেকে ইসলামি প্রতীক সরানো হয়েছে।

গার্ডিয়ান এবং ওপেন সোর্স জার্নালিজম সাইট বেলিংক্যাট এর এক তদন্ত অনুসারে, ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩১টি মসজিদ সম্পূর্ণ অথবা প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও আরও অনেক মসজিদের গম্বুজ এবং মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে।

হান চাইনিজদের সঙ্গে উইঘুর মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে

চীনের পশ্চিমাঞ্চল জিনজিয়াং প্রদেশে হান চাইনিজ পুরুষদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য উইঘুর নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে রাজি না হলে তাদের পরিবারকে বন্দী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

উইঘুর অধিবাসীরা মূলত মূসলমান, তুর্কী জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। হান চীনের একটি বৃহত্তম জাতি। ঐতিহাসিকভাবেই তাদের মাঝে বিবাহ না হবারই কথা। কিন্তু চীনে গত ত্রিশ বছরে এক সন্তানের বেশী বাচ্চা নেয়ার বিধান ছিল না। ফলে বিয়ে করতে গিয়ে সংকটে পড়ছে চাইনিজ ছেলেরা। বিয়ে করার মত চাইনিজ মেয়ে খুঁজে পাচ্ছে না। তাই সরকার আইন করে উৎসাহ দিচ্ছে উইঘুর মেয়েদের জোর করে বিয়ে করতে।

২০১৪ সালের শুরুতে একটি কাউন্টিতে প্রত্যেক হান-উইঘুর স্বামী-স্ত্রী্কে তাদের বিয়ের পাঁচ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ১০ হাজার ইউয়ান তথা ১৪৪২ ডলার দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল চীন সরকার। পত্রিকাগুলো ছাপতে শুরু করেছিল ‘কীভাবে উইঘুর মেয়েদের মন জয় করা যায়’ শিরোনামের আর্টিকেল।

ওয়াশিংটনের মানবাধিকার সংগঠন উইঘুর্স ক্যাম্পেইনের ডিরেক্টর রুশন আব্বাস বলেছেন, উইঘুর মেয়েদেরকে হান ছেলেদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য করা হচ্ছে। মেয়েগুলোও প্রতিবাদ না করে মেনে নিচ্ছে। কারণ তারা জানে, প্রতিবাদ করলেই তাদের বাবা-মা বন্দী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিছানায় শুতে বাধ্য করা

যে সমস্ত উইঘুর মহিলাদের স্বামী বন্দী শিবিরে আটক, তাদের নজরদারি করতে হান চাইনিজ পুরুষ নিয়োগ দিয়েছে চীনা সরকার। এসব চাইনিজ পুরুষরা স্বামীদের মতোই উইঘুর মহিলাদের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমায়। চীনা সরকারের নথিপত্রে এইসব চাইনিজ পুরুষদের নাম দেয়া হয়েছে ‘রিলেটিভস’ বলে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারের অংশ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ‘ঐক্য এবং ফ্যামিলি’ প্রোগ্রাম হাতে নেয় চীনা সরকার। এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে জিংজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বাড়িতে নিয়োগ দেয়া হয় হান চাইনিজ পুরুষ। এমন মহিলার বাড়িতেই নিয়োগ দেয়া হয়, যার স্বামী বন্দী শিবিরে আটক।

হান চাইনিজ পুরুষরা পরিবারে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে আলোচনা করে। তাদের সঙ্গে জীবন নিয়ে কথা বলে এবং একে অপরের প্রতি আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করে।

রেডিও ফ্রি এশিয়ার উইঘুর সার্ভিস সম্প্রতি কাশী প্রদেশের ইংজিশা কাউন্টির প্রফেসর ও ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ক্যাডারের সঙ্গে কথা বলে। ক্যাডার বলেন, তিনি যে জনপদটির তত্ত্বাবধানে আছেন, সেখানে প্রায় ৮০টি পরিবারে হান চাইনিজ পুরুষরা প্রতি দুইমাসে ছয়দিন করে থেকে যান। তাদের সঙ্গে খাবার খান, দিনরাত তাদের সঙ্গে থাকেন। জীবন সম্পর্কে কথা বলে একে অপরের প্রতি অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। বিশেষত শীতকালে একসাথে কথা বলা ও খাওয়া ছাড়াও তারা একই বিছানায় ঘুমান।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে সমস্ত উইঘুর মহিলা ‘ঐক্য ও ফ্যামিলি’ প্রোগ্রামের আওতায় পাঠানো পুরুষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে কিংবা কাজে বাধা দিবে, তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চীন সরকারের ‘ঐক্য এবং ফ্যামিলি’ প্রকল্পের একটি রিপোর্ট পেশ করে। তাতে বলা হয়, এক লাখেরও বেশি চীনা কর্মকর্তা উইঘুর বাড়িতে নজরদারিতে গিয়েছেন। তারা এক সপ্তাহ করে তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে।

এইচআরডাব্লিউয়ের রিপোর্টের সাথে নজরদারি চলাকালীন ক্রিয়াকলাপেরও ছবি যুক্ত করা হয়। তাতে দেখা যায়, চীনা কর্মকর্তারা উইঘুর মহিলাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবেই আচরণ করছেন। একসাথে খাওয়া, একসাথে ঘুমানো এবং শেখানো। এই ঘটনাকে উইঘুরদের বাড়িতে চীনাদের জোরপূর্বক অন্তর্ভুক্তির নিকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে এইচআরডাব্লিউ।

হালাল রেস্টুরেন্ট থেকে মুসলিম প্রতীক সরিয়ে ফেলা

চীনে ২০১৬ সাল থেকেই আরবি ভাষা ও ইসলামী ছবি বা প্রতীকবিরোধী অভিযান নতুন মাত্রা পায়। রাজধানী বেইজিংয়ের হালাল রেস্টুরেন্ট ও ফুড স্টলগুলো থেকে আরবি ভাষা ও মুসলিম প্রতীক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় চীন কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে তারা চীনের মুসলিম জনসংখ্যাকে `সিনিফিকেশন’ বা চীনা ধারার সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলতে চাইছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিংয়ে হালাল পণ্য বিক্রি করে এমন ১১টি রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটের কর্মীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা তাদের ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবিগুলো সরিয়ে নিতে বলেছে। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট মুন বা অর্ধচন্দ্র এবং আরবিতে লেখা `হালাল’ শব্দটিও রয়েছে।

রাজধানী বেইজিংয়ের একটি নুডলস শপের ম্যানেজার জানান, বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে তার দোকানের প্রতীক থেকে আরবিতে লেখা `হালাল’ শব্দটি ঢেকে ফেলতে বলা হয়েছে। তারা বলেছে, এটি বিদেশি সংস্কৃতি এবং তোমার উচিত চীনা সংস্কৃতি আরও বেশি ব্যবহার করা।’

উইঘুর মহিলাদের ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা

ইসলামি সংস্কৃতি নির্মূল অভিযানের অংশ হিসেবে ফ্যাশন শো এবং বিউটি প্রজেন্ট শোতে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর মহিলাদের। তাদেরকে আরও যেন চীনাদের মতো দেখায়, এজন্যই মেকাপ এবং ফ্যাশনেবল ড্রেস পরিয়ে উপস্থিত করা হচ্ছে শোতে।

ইন্ডিয়ানা রোজ হুলম্যান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির চীন বিষয়ক অধ্যায়নের প্রফেসর টিমোথি গ্রোজের একটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, চীন সরকার তার বিউটি প্রকল্পে আয়োজিত ফ্যাশন শো এবং দীর্ঘতম চুলের প্রতিযোগিতায় উইঘুর মহিলাদের উপস্থিত হতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব শোতে অংশগ্রহণকারীদেরকে মেকাপ দিয়ে সাদা করে এবং জিন্স কিংবা মিনিস্কার্টের মতো আধুনিক পেশাক পরানো হয়।

শিশুদের চীনা হোস্টেলে চীনা রীতিতে প্রতিপালন

বাবা-মা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও উইঘুর শিশুদের চীনা হোস্টেলে চীনা স্টাইলে প্রতিপালন করছে চীন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এখানেই আস্তে আস্তে তারা পরিপূর্ণ চীনা সংস্কৃতির শিক্ষা পেয়ে আপাদমস্তক চৈনিক হয়ে উঠবে। কিন্তু সংস্কৃতি শিক্ষা দেয়ার নামে কখনো কখনো তাদেরকে নাস্তিকতার পাঠ দেয়া হয়। ইসলাম অস্বীকার করতে চাপ দেয়া হয়। চীনা সংস্কৃতি শিক্ষা দেয়ার নামে আসলে চীন কর্তৃপক্ষ ‘ডি-ইসলামাইজেশনে’র অভিযানে নেমেছে।

দেশটির একাংশে ইসলামের চর্চা নিষিদ্ধ। নামাজ-রোজার পাশাপাশি দাড়ি রাখা বা হিজাব পরার মতো কারণেও ধরপাকড়ের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে। বিভিন্ন মসজিদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গম্বুজ ও চাঁদ-তারার প্রতিকৃতি। মাদ্রাসা ও আরবি শিক্ষার ক্লাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শিশুদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একেই তারা বলছে, চীনা ধারার সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ইসলামের সামঞ্জস্য তৈরি করা। যারা এটি মানতে চাইবে না, তাদের বিচারের আওতায় নিতেই প্রণীত হয়েছে নতুন আইন।।

আগের সংবাদজিংজিয়াং-এ একদিন : উইঘুররা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন
পরবর্তি সংবাদবাংলাদেশে উইঘুর আল্লামা : আব্দুর রহমান কাশগড়ির ভাগ্যবিড়ম্বিত জীবন