
ফাতেহ ডেস্ক :
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে হামিদ হোসেন (৩২) ওরফে বদি আলম নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুমধুম এলাকার ৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদ উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ব্লক-জি-৪ এর আবদুল করিমের ছেলে। আহত দুজন হলেন- একই ক্যাম্পের হাবিব উল্লাহ ও জুয়েল হক।
রোহিঙ্গারা জানায়, সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরনে লুঙ্গি-গেঞ্জি ছিল।ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (পরিদর্শক) কানন চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট-১ এর হেড মাঝি মোহাম্মদ রফিক বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। এই স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার শিবিরের এক যুবক নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
সীমান্তে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনাটি ওই দেশের ভেতরে ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে- হয়তো তারা ওই দেশ থেকে এপারে আসার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’