.jpg)
রাকিবুল হাসান :
আসামে এক বিশেষ ধরনের ডায়ালেক্ট বা উপভাষায় লেখা কবিতা ফিলহাল বেশ আলোচনায় উঠে এসেছে। এমনকি এই উপভাষায় কবিতা লেখা কবিদের বিরুদ্ধে এফআইআরও জমা পড়ছে আসামের থানাগুলোতে। কবিতাগুলো ‘মিঞা কবিতা’ নামে পরিচিত। মাত্র বছর কয়েক হলো ওই রাজ্যে বাংলাভাষী মুসলিমরা মিঞা কবিতার মাধ্যমে তাদের সামাজিক বঞ্চনা ও নির্যাতনের ছবি তুলে ধরছেন। তাই মিঞা কবিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন আসামের বহু চিন্তাবিদ এবং শাসক দল বিজেপির নেতারাও।
মিঞা কবিতা কী?
উর্দুতে ‘মিঞা’ বলতে বোঝায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম ব্যক্তিকে। কিন্তু আসামে এই শব্দটি আসলে একটি বর্ণবাদী গালি, যা আসামে বাংলাভাষী অভিবাসীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। মিঞা সম্বোধনে মিশে থাকে ভাষা, ধর্ম এবং শ্রেণীগত শ্লেষ। মিঞা মানে পূর্ববাংলা মূলের মুসলমান। উগ্র জাতীয়তাবাদীরা ‘মিঞা’ না বলে সরাসরি বলে ফেলে ‘বাংলাদেশি’।
আসামে বসবাসরত বাংলাভাষীরা অসমিয় হরফে বাংলাভাষাকে মূল ধরে এক ধরনের কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। প্রতিবাদী কবিতা—শোষক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, বঞ্চনা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে। বুদ্ধিজীবীরা এই কবিতার নাম দিয়েছেন মিঞা কবিতা। মিঞা কবিতা যাঁরা লিখেন, তাঁরা মিঞা কবি।
২০১৫ সালে মিঞা কবিতার উদ্ভব ঘটান গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমিয় ভাষায় ডক্টরেট করা কবি হাফিজ আহমেদ। তাঁর থেকেই শুরু মিঞা কবিতার জোয়ার। হাফিজ আহমেদ তাঁর ফেসবুক ওয়ালে কবিতাটি লিখেছিলেন—
লেখ,
লিখে নাও—
আমি একজন মিঞা
এনআরসি ক্রমিক নং ২০০৫৪৩
দুটি সন্তানের বাবা আমি
সামনের গ্রীষ্মে জন্ম নেবে আরেকজন
তাকেও তুমি ঘেন্না করবে
যেমন ঘেন্না আমায় করো?
ফ্লাশব্যাক
মিঞা গালি এবং এর রহস্য জানতে হলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে।
১৯ শতকের শেষদিকে ইংরেজরা কম জনসংখ্যার রাজ্য আসামের অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনার দীর্ঘ প্রকল্পে হাত দেয়। কারণ এতে পাট চাষ করলে যেমন বাংলার চটমিলগুলোর কাঁচামালের খিদা মিটবে, তেমনি জমির ওপর কর বসিয়ে রাজস্বও ভারী করা যাবে। কিন্তু আসামে লোক কম, চাষ করবেটা কে? চতুর ইংরেজরা পূর্ববঙ্গ থেকে গরিব, প্রান্তিক চাষিদের এনে আসামে বসতি স্থাপনের সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করে। শ্রম বাংলার, জমি আসামের, কাঁচামাল যাবে ফের বাংলায় ব্রিটিশ মিলে, মিলপণ্য রফতানি হবে দেশ-বিদেশের বাজারে—এই হলো মুনাফা ও রাজস্ব ভারী করার পুঁজিবাদের উপনিবেশিক ছক। তবে ইংরেজদের লাভ হলেও ধর্ম, ভাষা এবং জাতিসত্ত্বার প্রশ্নে এই উপনিবেশিক ছক গোলমাল বাঁধিয়ে দেয়।
ঊনিশ শতকের শেষদিকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে পূর্ববাংলার ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুরের মুসলিম অভিবাসী চাষিরা আসামে ঢুকতে আরম্ভ করেন। ১৯০৫ সালে কার্জন সাহেব বঙ্গভঙ্গ করে আসামকে বাংলার সঙ্গে যুক্ত করে দিলে এই অভিবাসীর ঢল আরও বেড়ে যায়। অসমিয়া বৌদ্ধিক মহলে অভিবাসন নিয়ে ক্রমেই আবহাওয়া গুমোট হচ্ছিল। এর কারণ শুধু আর্থিক নয়, সাংস্কৃতিকও।
বিশাল সংখ্যক বাংলাভাষী আসামে বসতি স্থাপনের পর অসমিয়ভাষীরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। মূলত ক্ষোভটা এর থেকেই জন্ম নেয়। অসমিয়রা মনে করতে থাকে—আসামকে গিলে বৃহত্তর বাংলা তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। তার উপর অভিবাসী বাংলাভাষীরা মুসলিম। ভাষা তো যাচ্ছেই, এবার মুসলিমদের আধিপত্যে যাবে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এই উদ্বেগ ও ঘৃণা যে জন্ম নিলো তখন, তা আজও ঠিক তরতাজা হয়ে রয়েছে।
দেশভাগের পর ১৯৫১ সালে এনআরসি হলে দেখা গেল—জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন তালিকায় প্রায় ৬০ শতাংশই অসমিয়। বাঙালি মাত্র ২০ শতাংশ। অথচ মূলত বাঙালির দশভাগের একভাগ ছিলো অসমিয়। কিন্তু নাগরিক তালিকার হিসাব উলটে যাওয়ার পেছনে আসামের ভিনদেশবিরোধী ভয় দায়ী।
বাঙালি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই রাজনৈতিক বৈরিতা তৈরি হচ্ছিল। এর প্রধান পরিচায়ক ভাষা। বাংলাভাষীদের প্রতি ক্ষোভ এবং ঘৃণা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছিলো আসামে। ১৯৫১ সালে যখন এনআরসির তোড়জোড় শুরু হয়, তখন বাঙালি মুসলমানদের মনে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছিল; ধর্ম এবং ভাষা দুটো ঠিক রাখতে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই বাঙালিরা এনআরসিতে তাদের ভাষা অসমিয় লিখে দিলো।
এনআরসির নামে, বিদেশি বিতাড়নের নামে, নিজ সংস্কৃতি রক্ষার নামে বাংলাভাষীদের ওপরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়েছে অসমমিয়রা। এরমধ্যে সবচে ভয়ংকর হলো ১৯৮৩ সালের নেলি গণহত্যা। ৬ ঘণ্টায় দুই হাজারের অধিক মুসলিমকে হত্যা করেছিল অসমিয়রা।
এইসব নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিশেষ এক উপভাষায় কলম ধরেন আসামের বাংলাভাষী কবিরা। এই কবিতার নাম দেয়া হয় মিঞা কবিতা।
মিঞা কবিতার ভাষা
মিঞা কবিতার অধিকাংশ বাংলাভাষায় লেখা। ময়মনসিংহের প্রভাবটা বেশি। ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুর থেকে গিয়ে আসামে দীর্ঘদিন থাকার ফলে কথ্যভাষায় অসমিয়া শব্দ ও বাগধারার প্রভাবও পড়েছে। এটাকেই বলা হয় মিঞা ভাষা। অসমমিয়ায় যার নাম ‘দোয়ান’।
বাংলা ভাষায় লেখা হলেও মিঞা কবিতার হরফ অসমিয়া। এর ব্যবহারিক কারণ, কবিরা অসমিয়াতে পড়াশোনা করেছেন, তাই অসমিয়া হরফে তাঁরা অভ্যস্ত। আর নীতিগত কারণ, তাঁরা যে অসমিয় তা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানানো। অসমিয় সত্তার মধ্যে থেকে জাতিহিংসাকে শিল্পের ও প্রতিবাদের উপকরণ হিসেবে নেয়া। যে অসমিয় ভাষায় আক্রমণ করা হয় তাদের, সেই অসমিয় ভাষাকেই প্রতিবাদের অস্ত্র হিসেবে হাতে নিয়েছেন তাঁরা।
আসামের বুদ্ধিবিক্রেতারা এই কবিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আপনারা তো অসমিয়, খাঁটি অসমিয়ায় লিখছেন না কেন? মিঞা ভাষা বলে কিছু হয় না।’
মিঞা ভাষায় যেহেতু অসমিয় হরফের মোড়কে বাঙালিয়ানা, তাই বুদ্ধিবিক্রেতাদের গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। এই উপভাষাকে তারা অস্বীকার করতে চাইছে। কিন্তু অস্বীকার করতে চাইলেই কি অস্বীকার করা যায়?
মিঞা কবিতা প্রথম লিখেন কবি হাফিজ আহমেদ। মিঞা কবি হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার গবেষক শালিম হোসেন। মিঞা কবিতার ভাষা প্রসঙ্গে শালিম হোসেন বলেন, ‘ইংরেজি-হিন্দির পাশাপাশি বিভিন্ন উপভাষায় এই মিঞা কবিতা লেখা হয়। এই উপভাষাগুলোর উৎস ময়মনসিংহ, পাবনা, ঢাকা ইত্যাদি বিভিন্ন অঞ্চল। এর ভেতরে অসমিয় এবং আরও নানা স্থানীয় ভাষাও ঢুকে যায়। কেউ হয়তো একটা কবিতা লিখল, তার রেশ ধরে আরেকজন আরেকটি কবিতা লিখল। এভাবেই মিঞা কবিতা চলতে থাকে চেইনের মতো।’
মিঞা কবিতার বিষয়বস্তু
এনআরসি নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক অধিকাংশ মিঞা কবিতার আলোচ্য বিষয়। অন্যদিকে নেলির গণহত্যা থেকে শুরু করে ধর্ষিতা মুসলিম নারীর কাহিনিও কবিতার অন্যতম বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে। মিঞা কবিতার লাইনে লাইনে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিজের অধিকারের পক্ষে তেজস্বী কণ্ঠস্বর।
কবি সরওয়ার হোসেন বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে দাঁড় করিয়েছেন করুণ একটি মিঞা কবিতা—
কবর খুঁড়ে আমি আমার
পূর্বজন্মের ফসিল বের করে আনি;
দেখি—দুইশ বছর গোলামিতে
বাঁকা হয়ে গেছে আমার মেরুদণ্ড,
দেখি—আমার বুকের ভেতর মাটির ভেজা গন্ধ
হাতের মুঠোয় লাঙলের ভগ্নাংশ।
কবর খুঁড়ে আমি
বের করে আনি আমার অন্ধকার অতীত;
দেখি—সবারই একটা ভ্রমণের ইতিহাস আছে
মাথা নিচু করে হেঁটে যায় নিরন্ন মানুষের মিছিল
সবারই একটা গল্প আছে ভেসে যাওয়ার।
কবর খুঁড়লে আমি একটা রক্তাক্ত নদী পাই
দেখি অথৈ নদীতে ভাসছে আমার গুলিবিদ্ধ লাশ;
কবর খুঁড়লে আগুন কিনা জানি না
তবে লাল টকটকে উত্তেজনা পাই;
কবর খুঁড়ে নিজেই নিজের লাশ নিয়ে
পৌঁছে যাই গোরস্তানে।
ওরা আমাকে শহীদ ঘোষণা করুক আর না করুক
এই জমিন বিক্রি করার আগে, এই বাতাস ফুরিয়ে যাওয়ার আগে, এই নদী বিষাক্ত হওয়ার আগে
অন্তত আরও একবার আমি তুমুল যুদ্ধে বিধ্বস্ত হবার চাই।
এনআরসি নিয়ে মিঞা কবিতা লিখেছেন কবি হাফিজ আহমেদ। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় মিঞা কবিতার মিছিল। তিনিই প্রথম লিখেছিলেন—
লেখ,
লিখে নাও—
আমি একজন মিঞা
এনআরসি ক্রমিক নং ২০০৫৪৩
দুটি সন্তানের বাবা আমি
সামনের গ্রীষ্মে জন্ম নেবে আরেকজন
তাকেও তুমি ঘেন্না করবে
যেমন ঘেন্না আমায় করো?
আমি একজন মিঞা;
ঐ বাদাপোড়া পাকের জমিতে
সবুজ ক্ষেত করেছি আমি, তোমাকে খাওয়াতে
ইটের পর ইট বহন করেছি, তোমার বাড়ি বানাতে
তোমার গাড়ি চালিয়েছি, তোমাকে আরাম দিতে
খানাখন্দ পরিস্কার করেছি, তোমার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে;
তবুও আমাকে বানিয়ে দিলে অধিকার ছাড়া নাগরিক
মাকে বানিয়ে দিলে ডি-ভোটার,
ইচ্ছে হলেই প্রাণ নিতে পারো, ভাগিয়া দিতে পারো, ক্ষেত কেড়ে নিতে পারো, তোমার গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতে পারো আমার বুক;
জানি—তোমার তবুও কোনো শান্তি হবে না।
লিখো—আমি একজন মিঞা
ব্রহ্মপুত্রে বেঁচে আছি
তোমার জ্বালা সইতে সইতে শরীর হইসে কালো, চক্ষু আগুন লাল!
শোষক রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে মিঞা কবিতা লিখেছেন শালিম হোসেন। কী তীব্র কটাক্ষ, কী সুচারু সমালোচনা। তিনি লিখেছেন—
পাবলিক নোটারি দিয়ে ভেরিফাই করে নিয়েছি—
আমি একজন মিঞা।
এখন আমি বানের জল থেকে উঠি, ধ্বসের ওপর ভাসি
বালুচর, পাঁক আর সাপ মাড়িয়ে আসি
মাটির অনিচ্ছায় কুড়াল দিয়ে আঁকছি পরিখা
১০% স্বাক্ষরতা হারের ভেতর দিয়া দেখো কেমনে ঝাঁকরা চুল দুলিয়ে হাঁটছি;
দেখো—কেমন হাবলার মতো তারা আমাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে।
আমার ধুকপুক কলজেকে বলে দিও—
আমি একজন মিঞা;
হাতে ধরে আছি সংবিধান, দিল্লির দিকে তুলেছি আঙুল
পার্লামেন্ট, সুপ্রিমকোর্টের দিকে হাঁটছি
এমপিদের, মান্যগণ্য বিচারকদের বলে দিও—
আমি একজন মিঞা। আমি গর্বিত।
মিঞা কবিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দুই কারণে মিঞা কবিতার ওপর অসমিয় এবং বিজেপি নেতারা ক্ষুব্ধ। এক. মিঞা উপভাষার মধ্যে প্রোথিত আছে আসামের ভাষা-রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। দুই. কবিতায় কবিরা ফুটিয়ে তুলছেন নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের করুণ চিত্র। এই কারণেই বিজেপির মুখপাত্র অপরাজিতা ভুঁইয়া বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মিঞারা এইসব কবিতায় মিথ্যা কথা বলছেন। তবুও আমরা তাদেরকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখে থাকি। কিন্তু তারা এত নির্লজ্জ, বাইরের জগতে আসাম নিয়ে ভুল ছবি তুলে ধরতেই আজেবাজে লিখে চলছেন।’
নির্যাতনের মুখোশ-উন্মোচন ঠেকাতে অনেক নেতা এই খোঁড়া যুক্তিও দিচ্ছেন, ‘বাঙালি মুসলিমরা যদি গণহত্যা বা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশে অভিযোগ না করে কবিতায় কেন তা বলা হচ্ছে?’
ভারতীয়রা ভুলে গেলেও বাঙালি মুসলিম তো ভুলে যায়নি নেলি গণহত্যার ভয়ংকর চিত্র। কই, এত হাজার মুসলিম মারা গেল, এত বছর পার হলো, বিচার তো হয়নি! গণহত্যার জন্যও মামলা লড়তে হবে? মামলা হয়নি তা নয়, হয়েছে কিন্তু তার দিকে মনোযোগ দেয়নি কিংবা দিতে দেয়া হয়নি আদালতকে। নয়তো মাত্র ৬ ঘণ্টায় ২ হাজার মুসলিম হত্যা করে কীভাবে পার পেয়ে যায় অসমিয় নরপিচাশরা? গণহত্যায় পুলিশই তো সহযোগিতা করেছে।
তাই মিঞা কবিদের এককথা—ভাষার এত সুন্দর মাধ্যম থাকতে আমরা কেন ব্যবহার করবো না?
মিঞা কবিতার যাত্রাটা মাত্র কয়েক বছর হলেও কবিতায় নাম করে ফেলেছেন কয়েকজন কবি। তাদের মধ্যে অন্যতম—হাফিজ আহমেদ, শেলিম হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রেহানা সুলতানা, আবদুল কালাম আজাদ, আশরাফুল হুসেন, কারিশ্মা হাজরিকা, বনমল্লিকা চৌধুরী, ফরহাদ ভুঁইয়া প্রমুখ। এদের কণ্ঠে মিঞা কবিতা হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের স্বর, নির্যাতনের বিরুদ্ধে গগনবিদারী স্লোগান। কবিদের এই কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ দৃষ্টি কেড়েছে বিশ্বের। তাই বিজেপি নেতারা নিজেদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবার ভয়ে কবিদেরকে ধর-পাকড় শুরু করেছে। এফআইআর দায়ের করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।