বাজেটে জনবান্ধব সংশোধনী আনার আহ্বান জমিয়তের

ফাতেহ ডেস্ক:

‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হলেও প্রকৃত অর্থে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক সঙ্কট উত্তরণ এবং সুষম অর্থব্যবস্থাপনার কোন দিক-নির্দেশনা নেই বলে উল্লেখ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

গতকাল (১২ জুন) নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে এ মতামত জানান দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন এবং মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

বিবৃতিতে তারা বলেন, নতুন বাজেটে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো ব্যয়বহুল ও সঙ্কটময় করে তুলবে। বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণের আবরণে সর্বস্তরের মানুষের জীবন যাপনে অপরিহার্য ও ব্যাপক ব্যবহৃত বেশ কিছু খাতে কর বৃদ্ধি ও বিস্তৃত করা হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার আবরণে শিল্পতিপতিদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সুদহার ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমকি ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কোনোরূপ বাছবিচার ছাড়াই প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতির জন্য টিউমারখ্যাত কালো টাকা সাদা করার অবারিত সুযোগ দেয়া হয়েছে। কর্পোরেট কর কমিয়ে বড় বড় ব্যবসায়িক গ্রুপের জন্য আরো সুবিধা করে দেয়া হয়েছে। শিল্পখাতের জন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্যখাতের যে করুণ দশা স্পষ্ট হয়েছে, এটা থেকে উত্তরণের জন্য বাস্তবসম্মত কোন ব্যবস্থা নতুন বাজেটে নেই। শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের মতোই অবহেলার শিকার।

জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে গুরুত্বের কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা বস্তবায়নের কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। কৃষকরা বরাবরই তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। প্রস্তাবিত বাজেটে উৎপাদনের উপকরণের মূল্য হ্রাসের কোন কথা বলা হয়নি। বরং গত বছরের সারের মূল্যই বহাল রাখা হয়েছ। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কৃষিখাতকে যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়নি বাজেটে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, আবাসন ও জীবন যাপনের সঙ্কট নিরসন এবং অপেক্ষাকৃত সহজতর করতে বাজেটে বিশেষ কোন উল্লেখ নেই।

বাজেটে জনবান্ধব সংশোধনী আনতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান জমিয়ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহাসচিব।

আগের সংবাদকরোনায় আক্রান্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদরেডজোন এলাকায় নামাজ ঘরেই আদায় করার নির্দেশ