রেডজোন এলাকায় নামাজ ঘরেই আদায় করার নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের কারণে সরকার ঘোষিত রেডজোন এলাকায় নামাজসহ সব ধরনের উপাসনা নিজ নিজ ঘরে করতে হবে বলে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ এপ্রিল দেশের জনসাধারণকে মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার নির্দেশ জারি করা হয়। পরবর্তীতে ৬ মে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামাতে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ প্রেক্ষিতে ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করছে। কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা সিভিল সার্জনের কাছে ওই এলাকার জোনিং ঘোষণার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। লালজোন (রেডজোন) হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোর মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লালজোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগন ছাড়া অন্য সবাইকে নিজ নিজ বাসায় থেকে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামাজ আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে ৫ ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন ও জুমায় সর্বোচ্চ ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোন মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের তাদের উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসায় উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। দেশের কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তফসির মাহফিল, তাবলীগী তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদমুক্তির প্রার্থনা করবেন। অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও কোন ধরনের ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব শীলদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-এ

আগের সংবাদবাজেটে জনবান্ধব সংশোধনী আনার আহ্বান জমিয়তের
পরবর্তি সংবাদইজরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাল সৌদি আরব