‘কিতাবুল খরাজ’ ও জাতীয় বাজেট 

আশরাফ উদ্দীন খান : 

‘কিতাবুল খরাজ’ হানাফি মাজহাবের ইমাম আবু ইউসুফ রাঃ এর লেখা একটি বিখ্যাত কিতাব। আমাদের সৌভাগ্য যে কিতাবটি এখনও বিদ্যমান আছে, এবং আরো বেশী সৌভাগ্য ও সচেতনতার ইঙ্গিত যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কিতাবটি এক সময় বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছিল। 

ইমাম আবু ইউসুফ রাঃ এর ইন্তেকাল হয় ১৮২ হিজরি সালে। সেই হিসাবে কিতাবটি তার আগের কোন এক সময়ে লেখা। কিতাবটি লেখার পিছনে সেই সময়ের আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রাশিদের ফরমান ও অনুরোধ ছিল। ইসলামী রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থা কিভাবে পরিচালিত হবে, রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়, রাজস্ব কোথা থেকে ও কিভাবে নির্ধারণ করা হবে, কিভাবে বণ্টন করা হবে তাঁর বিবরণ চেয়ে খলীফা হারুনুর রাশিদের পক্ষ থেকে ইমাম আবু ইউসুফ রাঃ কে অনুরোধ জানালে, তাঁর উত্তরে তিনি কিতাবটি লেখেন এবং খলিফার নিকট প্রেরণ করেন। 

খরাজ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করার আগে, কিতাবের শুরুতেই ইমাম আবু ইউসুফ রাঃ যে কাজটি করেছেন সেটা হচ্ছে আমিরুল মুমিনিন হারুনুর রাশিদকে উদ্দেশ্য করে লম্বা একটি সম্ভাষণ, উপদেশ ও তারগিব-ফজিলতের হাদিস পেশ করেছেন, তাঁকে দ্বীনী উপদেশ-নসিহত করেছেন। এরপর তিনি সেই সময় ও পরিবেশের আলোকে সরকারকে একটি বিস্তারিত রুপরেখা পেশ করেছেন, রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থা পরিচালনা কিতাবে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। রাজস্ব আয়ের উৎস, পদ্ধতি, বণ্টন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করেছেন। 

এমন এক সময়ের কথা আমরা এখানে বলছি যখন ইসলামী ফিকাহ, মুসলিম ফকিহ রাষ্ট্রের অর্থব্যবস্থার রুপরেখা সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। তাহলে আমাদের হাতে এখন যে ফিকাহ ভাণ্ডার বিদ্যমান সেই ফিকাহ ভাণ্ডার দিয়ে এক সময়ে রাষ্ট্র ও অর্থব্যবস্থা বাস্তবে পরিচালিত হয়েছে –সেই ঐতিহ্য আমাদের রয়েছে।

ঐতিহ্যকে ঐতিহ্যের জায়গায় রেখে, বর্তমানের দিকে দৃষ্টিপাত করি। বর্তমান অর্থব্যবস্থার সামনে ইসলামী ফিকাহর অবস্থান ও অবদান কোথায়? এটা সত্য ও খুশির বিষয় যে, আমাদের হাতে এখন ইসলামী অর্থনীতির বিস্তারিত রুপরেখা আছে, দেশে ইসলামী ব্যংকিং ব্যবস্থা আছে, ইসলামী তাকাফুল ব্যবস্থা চলছে, জনগণের মধ্যে ইসলামী লেনদেনে আগ্রহ বেশ গভীর। 

‘ইসলামে সব কিছুর ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে’ এটা সত্য তত্ত্ব, কিন্তু তত্ত্বকে যদি প্রয়োগ করার পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি না হয় তাহলে সেই তত্ত্বের মূল্য কি? এবার করোনাকালের সরকারের পক্ষ থেকে যখন বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা ও আপৎকালীন ব্যবস্থার ঘোষণা দেওয়া হল, তখন আমাদের দেশের ইসলামী অর্থনীতিবিদগণও তাতে অংশগ্রহণ করেন। তারাও তাদের পক্ষ থেকে সরকারকে পরামর্শ দেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল তার ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এই বিষয়টি এই খাতের অগ্রসরতার একটি পরিচয় দিয়েছে। 

জাতীয় বাজেট একটি দেশের জন্য কি অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। একটি দেশের পরিপুর্ণ পরিচালন ও উন্নয়নের পরিকল্পনা এখানে পেশ করা হয়ে থাকে। সরকার তাঁর সহযোগী ও অনুকূল সকল সংগঠন ও সংস্থার সাথে আলোচনা, পরামর্শ করেই এটা ঘোষণা করেন। আবার দেশের জ্ঞানী, অভিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ জনেরা এর সমালোচনা করেন, সম্পূরক আলোচনা ও প্রস্তাবনা পেশ করেন। এই সকল বিষয় নিয়ে যদি বিশাল কোন কওমের আগ্রহ না থাকে তাহলে বিষয়টি রীতিমত ভাবনার বিষয়। আমাদের প্রস্তাবনা, পরামর্শ নিয়ে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। আমরা যদি অপেক্ষায় থাকি যে, কোন ‘হারুনুর রাশিদ’ এসে যদি আমাদের কাছে ‘কিতাবুল খরাজ’ লিখে দিতে বলে, তাহলেই আমরা লিখবো, অন্যথায় না তাহলে বলতে হয় আমরা ভুলের মধ্যে আছেন। নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা, নিজেদের উপযুক্ততা অন্য কেউ ঘোষণা দিতে আসবে না, সেটা আমাদেরকেই করতে হবে। 

গত কয়েকদিন আগে আগামী অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’। বাজেট পত্র পাঠ, সমালোচনা, পরামর্শ প্রদানের সংস্কৃতি এখনো গড়ে উঠেনি আমাদের মাঝে। এর কারণ মনে হয় এটাই যে, ‘বলে লাভ নাই, কেউ শুনবে না’ এই জাতীয় কোন অজুহাত। কিন্তু কেউ গ্রহণ করুক বা না করুক অন্তত নিজেদের পরামর্শ পেশ করার দায়িত্বতো তাতে পালিত হবে। কোন ‘হারুনুর রাশিদ’ না আসলে এবং ‘আবু ইউসুফ’ এর মত কেউ সৃষ্টি হতে উৎসাহ না থাকলেও, সেখানে বাঁধা-প্রতিবন্ধকতা তো নেই।  

২.

এটা গেল বাজেটের প্রতি আমাদের মত সাধারণ জনগণের নির্লিপ্ততা ও অনাগ্রহ ও সেই সাথে দায়িত্ববোধের একটি দিক। এবার যদি আমরা প্রস্তাবিত বাজেটের দিকে তাকায়, তাহলে প্রথমেই আমরা দেখতে পাবো যে, প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, দেশের প্রথম বাজেটের পরিমাণ যেখানে ছিল প্রায় ৮০০ কোটি থেকে কম, আজকে সেখানে আগামী বছরের বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। এই পরিমাণ বৃদ্ধি স্বাভাবিক হলেও, বাজেটের গুণগত মান ও যে খাতে যে পরিমাণ গুরুত্ব প্রদান একটি জনবান্ধব সরকারের কাছে জনগণ প্রত্যাশা করে থাকে সেটা এখনো পুরোপুরি হয়ে উঠেনি। 

এবারের বাজেট একটি বিশেষ আপৎকালীন সময়ে ঘোষিত বাজেট। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রা যেখানে স্থবির, দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত, সেই সময়ের বাজেট দিকে সকলের একটা আলাদা মনোযোগ ছিল, সবাই দেখতে চেয়েছিল বাজেটের মাধ্যমে এই কঠিন সময় অতিক্রম করার কি কৌশলপত্র ঘোষণা দেয়। কিন্তু মনে হচ্ছে সেই গতানুগতিক বাজেটই আমাদের সামনে এসেছে। 

জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা 

এবারের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের অনেকে অর্থমন্ত্রীর ‘দুঃসাহসের’ দেখেছেন। এবং তাদের মতে, বাজেট প্রণয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চলতি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সরকারের ভিসন-২০২১ ও ২০৪১ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ সামনে থাকার কারণে, অর্থমন্ত্রীর এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে সরে না আসতে পারেননি। কিন্তু দেশ ও বিশ্বের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরণের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবধর্মী নয় –বলেই তাদের অভিমত। 

এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞগণ আশংকা করেছেন যে এতে দেশের বাস্তবতা লুকিয়ে রাখার কারণে, করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে বাংলাদেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। কারণ এই লক্ষ্যমাত্রে নির্ধারণের কারণে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সম্প্রদায়ের কাজে এই বার্তা যাবে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক আছে, করোনায় খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। কিন্তু বাস্তবতা যে এর থেকে ভিন্ন সেটা তাদেরকে বুঝানোর উপায় থাকবে না। 

করোনা মহামারি সময়ে আমাদের দেশের দুটি দুর্বলতা বেশ কঠিনভাবে ফুটে উঠেছে। দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আর মানুষের জীবিকা নির্বাহের সাধারণ সক্ষমতা বা সামাজিক নিরাপত্তা‘ডেইলি স্টার’ এর একটি প্রতিবেদন ছিল, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই তৈরি যে, ‘দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৭টিতে আইসিইউ সুবিধা নেই, বেশীর ভাগ জেলা হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই’  (ডেইলি স্টার, ১১ জুন) 

জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাঃ  

বাজেট ঘোষণার আগে, মিজানুর রহমান তাঁর একটি কলামে বলেছিলেন যে, আমাদের স্বাস্থ্যখাতেই ১ লাখ কোটি টাকা দরকার। তিনি লেখেনঃ “এই অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ব্যয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে। মালদ্বীপ খরচ করে জিডিপির ১৩.৭ ভাগ, নেপাল ৬ ভাগ, ভারত ৪.২ ভাগ, শ্রীলঙ্কা ৪.১ ভাগ, আর বাংলাদেশ খরচ করে মাত্র ৩.৪ ভাগ। অবশ্য বাংলাদেশের ৩.৪ ভাগের মধ্যে সরকারি খরচ ১ শতাংশের কম। স্বাস্থ্য খাতে খরচের মাত্র ২৬ ভাগ দেয় সরকার আর ব্যক্তি খরচ করে প্রায় ৬৪ ভাগ। (প্রথম আলো, ১২ মে)। 

এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিচালন ও উন্নয়ন মিলে ২৯,২৪৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫,৭৩২ কোটি টাকাঃ ১০ হাজার ৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ৯ হাজার ৯৩৬ কোটি এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ব্যয় বাবদ ৩ হাজার ৪৫৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। তাতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট জাতীয় বাজেটের ৪ দশমিক ৯২% এবং জিডিপির ০ দশমিক ৮৯%। সেই হিসাবে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জনপ্রতি বরাদ্দের পরিমাণ বছরে মাত্র ১৪২৭.৭৭ টাকা।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেনঃ  কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাস্তব অবস্থা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সামনে রাখলে, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি গতবারের তুলনায় বেশী গুরুত্ব প্রদান করা হলেও, প্রয়োজনের তুলনায় সেটা যথেষ্ঠ নয় বলেই মনে হবে।  

সামাজিক নিরাপত্তা খাতঃ 

এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, চলতি অর্থ বছরের বাজেটে এই খাতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮২ হাজার কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বক্তব্যঃ “করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় সব দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে ৫ লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে। এই উপজেলাগুলোর সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে নতুন যোগ হবে সাড়ে ৩ লাখ উপকারভোগী। এছাড়া নতুন করে ২ লাখ ৫৫ হাজার নতুনসহ মোট ১৮ লাখ অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়া হবে”

এবারের বাজেটের মুল চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে অনেক, তারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা। স্বাস্থ্য খাতের কথা আগেই বলা হলে, তাছাড়া এই ধরণের মহামারির মধ্যে যাতে খাদ্যাভাবের সৃষ্টি না হয়, সেই জন্যে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়, আবার মানুষ যাতে সহজে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারেন তাদের সেই সক্ষমতাও রাখতে হয়। এই মুহুর্তে আমাদের একটি প্রধান উৎপাদন খাত পোশাকখাতে কর্মরত লক্ষ লক্ষ্য শ্রমিক কাজ হারানোর আতংকের মধ্যে আছেন, তেমনি প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকেই কর্ম হারিয়েছেন তাদেরকে দেশে ফিরে আসতে হবে এবং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি সেটা করা না যায় তাহলে সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পরতে পারে। 

এছাড়াও আমাদের বাজেটের একটি বড় দুর্বলতা যে, বাজেট বাস্তবায়ন ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করে দেখার মত প্রতিষ্ঠান বা দায়িত্ববোধ নেই। প্রতিবছর বাজেট ঘোষণা করেই যেন সবকিছু শেষ হয়ে যায়। ঘোষিত বাজেটের কি পরিমাণ বাস্তবায়ন করা গেল, আর কি পরিমাণ রয়ে গেল সেটা নিয়ে তেমন পর্যালোচনা করা হয় না। একটি সাধারণ পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, বিগত এক দশকের মধ্যে বাজেটে যা ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে ২৫ শতাংশ বাস্তবায়নের বাইরে থেকে গেছে। 

আগের সংবাদকরোনা আক্রান্ত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ
পরবর্তি সংবাদনাইজেরিয়ায় ফের ভয়াবহ হামলায় নিহত ৬০