
আন্তর্জতিক ডেস্ক:
তুরস্কের আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ করবে তুরস্ক। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করবো এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে। শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে।’
এছাড়া ইস্তানবুল ও চট্টগ্রামেও এ ধরনের কিছু করা যায় কি না সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাষ্কর্য স্থাপন করবেন। একই সঙ্গে ঢাকায় আধুনিক তুস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবেন। আমরা আরও আলোচনা করেছি তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তানম্বুল ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও এ রকম কিছু করা যায় কি না সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল তুরস্ক থেকে উসমানী খেলাফত বিলুপ্ত করেন। উসমানীয় সুলতান ও তাদের বংশধরদের দেশ ছাড়া করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করেন। এই নিষেধাজ্ঞা ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিল। আরবিতে আযান নিষিদ্ধ করেন। ১৯৪৮ সালে নিষেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তুর্কী ভাষা পূর্বে আরবীতে লেখা হত। তিনি তা বিলুপ্ত করে ল্যাটিন হরফে চালু করেন। যা এখনো আছে। এরদোগান অবশ্য আরবী হরফ চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন।