আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টানা ১১ দিন প্রাণঘাতী লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দখলদার ইজরাইল এবং ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি হিসাব করলে ফিলিস্তিনিদের ক্ষয়ক্ষতি কয়েকগুণ বেশি হলেও পশ্চিমা মদদপুষ্ট পরাক্রমশালী ইজরাইলি বাহিনীকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা হামাসের জন্য বিজয়ের সামিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হামাস যোদ্ধারা যে এবারের যুদ্ধে এতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং পাল্টা জবাবে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করবে তা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি ইজরাইলি বাহিনী। ফলে যে অহংকার ও মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা হামলা শুরু করেছিল, তা কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টা তির হয়ে বিঁধতে শুরু করে।
এ বিষয়ে হামাসের বৈদেশিক রাজনীতি বিষয়ক প্রধান খালেদ মিশ’আল বলেন, অবরুদ্ধ গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইজরাইলি সামরিক বাহিনীর দম্ভ এবং মর্যাদা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের আল-আকসা টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনিদের নতুন ইন্তিফাদার (পুনর্জাগরণ) কারণে আল-কুদসের জনগণ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। গাজা উপত্যকা আজ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।
তিনি আরও বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং আল-কুদস শহরের জনগণকেও ঘুরে দাঁড়ানো প্রয়োজন এবং ইহুদিবাদী ইজরাইলের বিরুদ্ধে এই গণজাগরণ অব্যাহত রাখতে হবে।
গত ১০ মে থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর টানা বোমাবর্ষণ শুরু করে দখলদার ইজরাইল। তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩২ জন। এদের মধ্যে ৬৫ শিশুও রয়েছে।
বিপরীতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ইজরাইলে প্রাণ হারিয়েছে বিদেশিসহ মোট ১২ জন।
সূত্র: পার্স টুডে