পাঠ্যবইয়ে দেশ নিয়ে ভুল তথ্য

ফাতেহ ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের হাতে যেসব নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে সেসব বইও ভুলে ভরা। ইতিহাস থেকে শুরু করে তথ্য ও পরিসংখ্যানগত ভুল রয়েছে এসব বইয়ে। আছে বানান ও যতি চিহ্নের ভুলও। পাঠ্যপুস্তকে এমন ভুল নিয়ে চলছে সমালোচনা।

চলতি বছরের নতুন বইয়ের কয়েকটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে ৩০টির অধিক ভুল রয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ বইয়ে বলা হয়, ‘১২ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নিকট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।’ বইটির ২০০ নম্বর পৃষ্ঠায় ছাপানো এ তথ্যে রয়েছে ভুল। সঠিক তথ্য হলো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে শপথ পড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। একই বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে।’ সঠিক তথ্য হলো- পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্যাতন, গণহত্যা ও ধ্বংসলীলা শুরু হয় ২৫শে মার্চ কালরাতে।

এই বইয়েই সংবিধানের আলোচনায় বলা হয়েছে, ‘পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদ’। সঠিক তথ্য ‘পঞ্চম ভাগে আইনসভা’। একই শ্রেণির আরেক বইয়ে ‘পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প, পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালায় ও নৃশংসভাবে গণহত্যা ঘটায়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বইয়ের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় এমন তথ্য দেয়া হয়। যদিও রাজারবাগ ছিল পুলিশ লাইন্স। আর পিলখানায় ছিল ইপিআর সদর দপ্তর।

অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বইয়েও রয়েছে বেশ অসঙ্গতি। এ বইয়ে দেশের ভয়াবহ বন্যার সালগুলো উল্লেখ থাকলেও ১৯৮৭, ২০০০, ২০০৭ ও ২০১৭ সালের বন্যার খবর নেই। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে অনেক ভুল রয়েছে। এছাড়াও বানান ও যতি চিহ্নের ভুল রয়েছে অধিকাংশ বইয়ে। আছে ব্যাকরণগত ভুলও।

আগের সংবাদ`আমিন আমিন’ রবে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
পরবর্তি সংবাদ৫০ মডেল মসজিদ চালু হচ্ছে সোমবার