দ্বীনের ফেরিওয়ালা প্রফেসর হামীদুর রহমান রহ.

|| তাসনিফ আবীদ ||

এদেশের অসংখ্য আলেম-ওলামা ও সাধারণ শিক্ষিত মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার ছিলেন প্রফেসর হামীদুর রহমান রহ.। একজন উচ্চ শিক্ষিত মুখলেছ দায়ী ছিলেন তিনি। আজীবন বহুমুখী দ্বীনি কাজে তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মুসলমানদের ইসলাহ ও আত্মশুদ্ধির ফিকির তার জীবনের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যমান ছিল। বিনম্র স্বভাবের এই সাধকের সান্নিধ্যে এসে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তিনি তৈরি করে গেছেন আকাবির ওলামায়ে কেরাম ও দেওবন্দী সিলসিলার অসীম ফুয়ুজ ও বরকতের আধ্যাত্মিক ধারা।

জীবনের একটি অধ্যায়ে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তবে হাফেজ্জী হুজুরের সান্নিধ্যে এসে পরিচিত হন ‘প্রফেসর হযরত’ হিসেবে। দ্বীনি বিষয়ে যেমন তিনি বলতে পারতেন, লিখতে পারতেন সমান তালে। জীবনের শেষ দিকে এসে তিনি বার্ধক্যজনিতে নানা রোগে আক্রান্ত হলেও এসব তাকে থামাতে পারেনি। দ্বীনের কাজে ছুটে চলেছেন অবিরাম। স্মরণী-বরণী এই বুযুর্গকে নিয়ে ফাতেহের আজকের আয়োজন-

জন্ম ও ব্যক্তিগত জীবন-
প্রফেসর হযরতখ্যাত মুহাম্মদ হামীদুর রহমান রহ. ৯ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কোরআনি মক্তব ও প্রাইমারি স্কুলে তার প্রাথমিক লেখাপড়া। সময়ের ব্যবধানে তিনি ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হতেই বাবাকে হারান। পিতার ইন্তেকালে সংসারে নেমে আসে অভাব-অনটনের বোঝা। ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন গ্রামে। এরপর ১৯৫৭ সালে কলেজ পাস করে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট)। আর্থিক নানা কষ্টের মাঝে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তারপর শুরু করেন কর্মজীবন।

প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এবং পরে ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে চাকরিতে ঢুকেন। এরপর ১৯৬৯ সালের শুরুর দিকে ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে প্রোডাক্ট সেলের জন্য ঘুষের প্রচলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধিতা করেন। এক পর্যায়ে চাকরিটি ছেড়ে দেন। পরে অনেক কম বেতনে ১৯৬৯ সালে তিনি বুয়েটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।

প্রফেসর হযরত রহ. বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৬৭ সালে। তিনি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক ছিলেন। তার ছেলেরা সবাই হাফেজ ও আলেম।

আমি আলেমদের জুতার বাহক-
নির্মোহ এই বুযুর্গ প্রায় আলোচনাতেই বলতেন, ‘আমি আলেম নই, আমি আলেমদের জুতা বহনকারী’। আমিও একসময় আলেম বিদ্বেষী ছিলাম। হুজুর দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যেত। বলতাম, মোল্লারা দেশটা খাইছে। কিন্তু আল্লাহর দয়ায় আমার জীবনে আসে পরিবর্তন।

প্রফেসর হামীদুর রহমান রহ. জীবনের অন্যতম একটি সৌভাগ্য ছিল হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর সান্নিধ্য পাওয়া। তার পরশেই তিনি খাটি সোনায় পরিণত হন। তিনি ছিলেন হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ঘনিষ্ঠ সহচর, বিশ্বস্ত সফরসঙ্গী ও বিশিষ্ট খলিফা। তিনি দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে হাফেজ্জী হুজুর রহ এর সহবতে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।

তিনি হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর কাছে বায়াত হন ১৯৭৪ সালে। বায়াত হওয়ার পাঁচ বছর পর তিনি হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর খেলাফত লাভ করেন।

প্রসিদ্ধ আছে, প্রফেসর হযরত রহ. ১৯৮৫ সালে হাফেজ্জী হুজুরের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফর করেন। এ সফরে যাওয়ার আগে তিনি ছুটি পাননি। অনেক অনুরোধের পরও বুয়েট কর্র্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়নি। এ জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ইংল্যান্ড সফরের শেষ দিকে হাফেজ্জী হুজুর রহ. তাকে বললেন, ‘আপনি আমার জন্য চাকরি ছেড়ে দিলেন? দেশে গিয়ে কী করবেন?’ তিনি তখন বললেন, ‘হুজুর! আমি আল্লাহর খুশির জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমার তো কোনো ভয় লাগে না।’ একথা শুনে একটুখানি থেমে হাফেজ্জী হুজুর বললেন, ‘এবার দরসিয়াতের (কওমি নেসাবে) কিতাবগুলো পড়ে ফেলেন। নিজে আলেম হন। নিজে মাদ্রাসা করে পড়ান।’

এরপর হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর পরামর্শে কুরআন, হাদিস,তাফসিরসহ দরসে নেজামির কিতাবাদি পড়া তিনি শুরু করেন। তার আলোচনার প্রতিটি পরতে থাকতো কোরআন ও হাদিসের উপস্থিতি।

হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ইন্তেকালের পর তিনি হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভি রহ. এর সর্বশেষ খলিফা মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা আবরারুল হক হারদুঈ রহ. এর কাছে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন।

ইসলাহি খেদমত-
প্রফেসর হামীদুর রহমান রহ. ছিলেন সুন্নতে নববী এবং আকাবির আসলাফের পুর্ণাঙ্গ অনুসারী। দাওয়াতুল হকের কাজে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তিনি মজলিসে দাওয়াতুল হকের রমনা থানা শাখার আমীর ছিলেন। দেশ-বিদেশে তিনি সুন্নতে নববীর সুবাস ছড়িয়ে গেছেন।

তিনি ছিলেন একজন দুনিয়াবিমুখ মানুষ। তার দুনিয়াবিমুখতা, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ঐকান্তিক পরিশ্রম, আলেমদের প্রতি সম্মানবোধ ও ভালোবাসা, শরিয়ত ও সুন্নতের ওপর সার্বক্ষণিক আমলের আপ্রাণ চেষ্টা কতটা নিবিড় ও আন্তরিক ছিল তা তাকে না দেখে থাকলে বোঝা যাবে না। আলেমদের সোহবত তাকে এমন উচ্চতায় আসীন করেছিলো, পরবর্তীতে অসংখ্য আলেম তাকে আধ্যাত্মিক রাহবার হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেছিলেন। তাকে দেখে অনেক বুজুর্গ এমনও মন্তব্য করতেন, তার সান্নিধ্যে সাহাবিদের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।

কোরআনি মক্তব প্রতিষ্ঠা-
হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ছিলেন কোরআনের মানুষ। এদেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ঘরে ঘরে কোরআনের ধ্বনি উচ্চারিত হবে এটাই ছিল তার কামনা। সেজন্য তিনি গ্রামে-গঞ্জে মক্তব প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছিলেন দিনের পর দিন। প্রফেসর হযরত রহ. এটা তার শায়েখ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেন। তিনিও মক্তব প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের আনাচে-কানাচে ছুটে বেড়িয়েছেন। জীবনের শেষে দিকে যখন দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়াতেই তার কষ্ট হতো, তখনও তিনি ছুটে চলেছেন। গাড়িতে শুয়ে শুয়ে সফর করেছেন।

আমাদের দেশের সীমান্তের জেলাগুলো বিভিন্ন মিশনারি দ্বারা আক্রান্ত। দারিদ্র জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে অনেকেই তাদের ইমান হরনের চেষ্টা করে। সেই সব এলাকায় প্রফেসর হযরত রহ. এর সবাহি কোরআনি মক্তব প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমগুলো ছিল খুবই প্রশংসনীয়।

তাসনিফাত-
প্রফেসর হযরত রহ. যেমন সুন্দর বলতে পারতেন, লিখতেও পারতেন চমৎকার। তার লেখা বইগুলো ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ছিল আত্মার খোরাক, হৃদয়ের প্রশান্তি। তার লেখায় ছিল দুনিয়ার মোহ ত্যাগ ও আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার অপূর্ব আহ্বান। তার লেখা গ্রন্থগুলোর মধ্যে তাযকিরাতুল আখেরাহ, ইসলাম ও সামাজিকতা, পবিত্র কুরআনের ভাষা শিক্ষা, ইসলামের ডাক, ইসলামের দাবী ও আমাদের বাস্তব জীবন অন্যতম।

এছাড়া তার বিষয়ভিত্তিক বয়ানগুলো একত্রিত করে বেশকিছু বইও প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে কুরআন ও বিজ্ঞান, আত্মশুদ্ধির পাথেয়, তাবলীগ ও তালীম, পাশ্চাত্যের শিক্ষায় দ্বীনি অনুভূতি, কুরআনের ডাক ও আমাদের জীবন, ইসলামে আধুনিকতা এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী ভাষণ সংকলন

পাশাপাশি দাওয়াত ও তালিমের কাজে তার বিভিন্ন সফরের অভিজ্ঞতার নানা গল্প নিয়ে তিনটি সফরনামাও বের করা হয়।

দ্বীনি সফর-
দ্বীনি কাজে তিনি ৮৬ বছরের জীবনে বেশকিছু দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। এরমধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল ২০১২ সালে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর। এ সময় তিনি নিউইয়র্ক, বাফেলো, নায়াগ্রা, মিশিগান, আটলান্টা, ফ্লোরিডা, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ডালাস, হিউস্টন এবং অস্টিনে বেশকিছু দ্বীনি প্রোগ্রামে অংশ নেন।

এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ বেশকিছু দেশ সফর করেন।

সৃষ্টির সেবায় স্রষ্টার খোঁজ-
প্রফেসর হযরত হামীদুর রহমান রহ. অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গঠন করেন ‘শুভেচ্ছা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সেবা সংস্থা। এর মাধ্যমে সেবা মূলক, সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে আগ্রহী ও সামর্থ্যবানদের অর্থ আর্ত মানবতার সেবায় ব্যয় করা হয়।

এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে অসহায় মানুষদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন বিতরণ, নলকূপ স্থাপন, মসজিদ/মহিলাদের নামাযঘর নির্মান, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মক্তব/প্রাইমারি স্কুল নির্মান, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান, ত্রাণ-সাহায্য বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীতের পোশাক বিতরণ, ঈদের পোশাক বিতরণ, কুরবানির গোস্ত বিতরণ, খুদ্দামুদদ্বীন ওয়ালমুসলিমীন -যাকাত সহায়তা ইত্যাদি।

মহিরুহুর চিরবিদায়-
মান্যবর এই বুযুর্গ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ২ তারিখ (বৃহস্পতিবার ) ‍দুপুর সোয়া তিনটার দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। একই তারিখের রাত ১০টায় ঢাকার উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ পড়ান ঢাকার জামিয়া রাহমানিয়ার শিক্ষক, প্রফেসর হযরতের ছেলে মুফতি মসিহুর রহমান রিজওয়ান। এরপর তাকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড় কবরস্থানে দাফন হয়।

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অবরোধ উপেক্ষা করে ওইদিন তার জানাযায় হাজারো মানুষের জমায়েত ঘটে। তার জানাযায় ওলামায়ে কেরামের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আরশাদ রাহমানী, জামিয়া রাহমানিয়ার শাইখুল হাদিস মুফতী মানসূরুল হক, ঢালকানগরের পীর মাওলানা আব্দুল মতিন, ঢালকানগরের পীর মাওলানা জাফর আহমাদ, ঢাকার আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ, ফাযায়েলে আমলের অনুবাদক মুফতি মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক আলেম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিক্স বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকা’র নির্বাহী পরিচালক মুফতি শাহেদ রহমানী, বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ‍মুফতি সালমান আহমাদ, নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন প্রমূখ।

শোকের ছায়া-
এই মহিয়সীর বিদায়ে শোক প্রকাশ করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ।

মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর আমীর মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান শোক বার্তায় বলেন, প্রফেসর হযরত হামীদুর রহমান রহ. ছিলেন মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক হারদুয়ী এবং হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর অন্যতম খলিফা। তিনি জীবনের বড় একটি অংশ সুন্নত প্রচারে ব্যয় করে গেছেন।

এছাড়া তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বসুন্ধরা ঢাকার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন প্রমূখ।

আসলে প্রফেসর হযরতের শাদামাঠা জীবন সব মানুষকেই আকৃষ্ট করতো। উম্মাহ দরদি এমন একজন রাহবারকে হারিয়ে দ্বীনি অঙ্গনের অপূরণীয় এক ক্ষতি হয়ে গেল।

আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়াবিমুখতা, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ঐকান্তিক পরিশ্রম, আলেমদের প্রতি সম্মানবোধ ও ভালোবাসা, শরিয়ত ও সুন্নতের ওপর সার্বক্ষণিক আমলের আপ্রাণ চেষ্টা কবুল করে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন। মাটির বিছানায় মহান প্রভূ তাকে ভালো রাখুন।

আগের সংবাদবর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন
পরবর্তি সংবাদএবার ইসরায়েলের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ভারত